সঙ্কট উত্তরণ কোন পথে?
- সালাহউদ্দিন বাবর
- ০১ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩১
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য যার যেখানে যতটুকু করণীয় আছে, সেই কর্তব্য পালন করতে এগিয়ে আসাই এখন সময়ের দাবি। দেশ যেমন সবার, এর সাফল্যের জন্য সবাইকে তেমনি নিবেদিত হতে হবে। দেশকে বর্তমান চরম ক্রান্তিকাল থেকে উতরানো শুধু রাজনীতিবিদদের একক দায়িত্ব, এটি মনে করা ঠিক হবে না। দেশে সব মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই ক্ষেত্রে যথাসাধ্য অবদান রাখতে হবে। বিভিন্ন মহল থেকে যদি সোচ্চার আওয়াজ ওঠে, তবে যে চাপের সৃষ্টি হবে, তাতে বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট সুরাহার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ তৎপর হবে। এভাবে একটা পথ বেরিয়ে আসবে সমাধানের। যে সঙ্কট নিয়ে পুরো দেশময় আলোচনা চলছে, সেটি হলো অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন। সরকারের প্রতিপক্ষ রাজনীতিকেরা প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে শর্তগুলো দিয়েছেন, এর সাথে ক্ষমতাসীনেরা একমত নন। এ দুই পক্ষকে এক করে সংলাপের টেবিলে বসিয়ে দেয়াই বর্তমান মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কাজ। শুধু বসিয়ে দিলেই চলবে না, তাদের আলোচনা যাতে প্রত্যাশিত পরিণতির দিকে যেতে পারে, সেই বোধ নিয়েই দুই পক্ষকে সংলাপে বসতে হবে।
বুদ্ধিজীবী ও সুশীলসমাজ সমাজের বাতিঘর। এই বাতিঘর থেকে বিচ্ছুরিত আলো সমাজকে পরিশুদ্ধ করে, ভালো-মন্দকে পৃথক করে দেখার শক্তি বাড়ায়, সৎ পরামর্শ দিয়ে সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার পাথেয় জোগায়। জাতীয় রাজনীতিতে যে সঙ্কট ঘনীভূত হয়ে উঠেছে, তা বিদূরিত করতে এবং সঠিক পথের সন্ধান দিতে তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার অবকাশ নেই। তারাও কোনো রাজনৈতিক পথ ও মতের অধিকারী হতে পারেন, কিন্তু সাধারণের চেয়ে তাদের বিবেকের দায় অনেক বেশি। সেই বাড়তি দায় থেকে এখন জাতির কল্যাণের জন্য তাদের নিজ মত-পথের ঊর্ধ্বে উঠে বৃহত্তর স্বার্থে ন্যায্য পথের দিশা দিতে হবে। রাগ-অনুরাগের প্রশ্রয় দিয়ে এই সঙ্কটে নীরব থাকার অবকাশ নেই। তা ছাড়া, আজকে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে যে শর্তের কথা বলা হচ্ছে, তা ন্যায় বোধ-বিচারে অগ্রহণীয় হতে পারে না। একটি প্রশ্নমুক্ত নির্বাচনের জন্য পুরো জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ, এই গণতান্ত্রিক সমীকরণ থেকে সমাজের কোনো অংশই সরে আসতে পারে না।
পেশাজীবীরা সমাজের সচেতন ও অগ্রসর অংশ। জাতিকে তারা বিভিন্নভাবে সেবা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান। জাতি গঠন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রেখে দেশের মানুষকে অগ্রগতির পথ দিয়ে থাকেন। যেহেতু তারা সমাজকে দেন অনেক বেশি, তাই এর ভালো-মন্দের জন্য তাদের ভাবনাও অনেক। রাজনীতিতে তারা পাশে থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভূমিকা রাখেন। তাই দেশের রাজনীতিতে আজ নির্বাচন নিয়ে যে অচলাবস্থা, তা উত্তরণের জন্য পেশাজীবীদের এগিয়ে আসা একান্ত কর্তব্য। পেশাজীবী সমাজ সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত। তাদের বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। তারা বিভিন্ন পথ-মতের হওয়া সত্ত্বেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে মতের যে ভিন্নতা বিরাজ করছে রাজনৈতিক অঙ্গনে, তা দূর করার জন্য তাদের এগিয়ে আসা কর্তব্য। আসন্ন নির্বাচনে যাতে সবাই অংশ নেয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়, সেজন্যই কাজ করা উচিত। ভালো নির্বাচন হোক; তাতে জনগণ নিজেদের বিবেচনায় যাকে ইচ্ছা ভোট দিক, তাতে সবার অবদান রাখতে হবে।
পেশাজীবীদের সবারই সমাজের প্রতি দায়িত্ব অনেক। এর মধ্যে সাংবাদিকদের দায়িত্ব আরো বেশি উচ্চতায়। সব মানুষকে নানা তথ্য দিয়ে হালনাগাদ রাখার জন্য এই পেশাজীবীদের বলা যেতে পারে ‘সমাজের শিক্ষক।’ দেশের আনাচে-কানাচে যে অন্যায়-অনিয়ম-অন্ধকার, তাকে প্রকাশ করে দিয়ে এর প্রতিবিধানের সুযোগ সৃষ্টি করেন সাংবাদিক সমাজ। গণতন্ত্র, সুশাসন, উন্নয়ন ও মানবাধিকারবঞ্চিত মানুষের ব্যথা বেদনার কথা রচনা করেন সাংবাদিকেরা। সমাজে ন্যায়-সুনীতি-সুবচনের কণ্ঠস্বর তারা। সুবিচারের বাণী বহন করেন সাংবাদিকেরা। আজ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে জনগণকে সারিবদ্ধ হওয়ার কথা বলছেন সাংবাদিক সমাজ। এ ক্ষেত্রে আরো সোচ্চার হয়ে কলমকে আরো শাণিত করতে হবে তাদের। জাতিকে কল্যাণের পথে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব অন্যদের চেয়ে তাদের অনেক বেশি। অতীতে এমন সন্ধিক্ষণে সাংবাদিকেরা দায়িত্ব পালনে কখনো পিছপা হননি। আগামী দিনে জনগণকে সঠিক বার্তা তারা পৌঁছে দেবেন বলে আশা করা যায়।
শিক্ষকসমাজ দেশে সৎ মানুষ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিবেদিতপ্রাণ। দেশের ভবিষ্যৎ দায়িত্ব পালনের জন্য সৎ ও যোগ্য মানুষ গড়ে তোলেন তারা। মানুষ শিক্ষকসমাজের কাছ থেকে দেশকে ভালোবাসতে শেখে। ছাত্ররা বিদ্যালয় থেকেই নেয় ভালো-মন্দের পাঠ। যারা বিদ্যালয় থেকে সুশিক্ষা নিয়ে বিবেককে জাগ্রত করে সমাজে আসেন, তারাই কর্তব্য কাজে নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে থাকেন।
এমন আলোকিত মানুষদের আসন্ন নির্বাচনে যাতে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা পায়; সেজন্য শিক্ষকসমাজ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারেন। মহিলা সমাজ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রসর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি ভূমিকা রাখছেন তারা। এ দেশের প্রধানমন্ত্রী এখন মহিলা। অন্য বহু ক্ষেত্রে শীর্ষপর্যায়ে রয়েছেন তারা। রাজনীতিতেও মহিলারা অবদান রেখে যাচ্ছেন। সংসদের যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেখানে মানুষ যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে পাঠাতে পারে, সেজন্য একটি অংশগ্রহণমূলক এবং প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন আয়োজন করার লক্ষ্যে দৃঢ় জনমত তৈরির কাজে নারী সমাজেরও এগিয়ে আসা এখন জরুরি। ‘জাতির মাতা’ হিসেবে তারা তাদের সন্তানদের দেশের ভবিষ্যৎ নেতা নির্বাচনে জাতির কল্যাণে যাদের নিবেদিতপ্রাণ বলে মনে করেন, সন্তানদের সেসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিতে পারেন।
দেশের শ্রমজীবী মানুষ বরাবর সংগ্রামী। অতীত বলে, তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। ন্যায় ও সত্যের জন্য শ্রমজীবীরা বহু ত্যাগ স্বীকার এবং নির্যাতন সহ্য করেছেন; কিন্তু তাদের নিজেদের বিশ্বাসভঙ্গের কোনো নজির নেই। স্বাধীনতা আন্দোলন ও ’৭০-এর নির্বাচনে তাদের অবস্থান ছিল পুরো জাতির পাশে। তা ছাড়া, রুটি-রুজির আন্দোলনেও তারা বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়েছেন লাগাতার। কিন্তু দেশের ও শ্রমজীবী মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রকৃতপক্ষে আজো তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা বিপুল। কিন্তু তাদের জন্য কাজের সংস্থান নেই। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ নেই। নতুন শিল্প স্থাপিত হচ্ছে না। এ ছাড়া, দেশ আজ বহু সমস্যায় নিমজ্জিত। দুর্নীতি ও অনিয়মে ছেয়ে ফেলেছে সব কিছু। এ অবস্থায় সম্মুখে এসে দাঁড়িয়েছে নির্বাচন। শ্রমজীবীদের এখন গণতন্ত্র বহাল; অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে যে দাবি উঠেছে; এতে তারা পাশে থাকবেন কি না তা ভেবে দেখতে হবে। অতীতে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি করেননি; দেশ ও জাতির স্বার্থরক্ষায় তারা ছিলেন আপসহীন। আজো ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সবার জন্য মানবাধিকার কায়েমের যে নির্বাচন এসেছে; সেখানে তারা অতীতের মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে পিছু হটবেন না প্রত্যাশা।
যুব ও ছাত্রসমাজ আগামী দিনের নতুন বার্তা দেন জাতিকে। তারাই দেশের আগামী দিনের নেতা ও জাতির ভবিষ্যৎ। সুন্দরের স্বপ্ন দেখেন আর কল্যাণের চিন্তা করেন। এই যুবসমাজ এখন হতাশায় ম্রিয়মাণ। দেশের বর্তমান হাল তাদের ক্ষুব্ধ করে তুলছে। চলমান অনিয়ম-অব্যবস্থার প্রতি তাদের অপরিসীম অনীহা। এ দিকে গত প্রায় ১০ বছর হতে চলল, দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তারা কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাদের ভোট দেয়ার সুযোগই হয়নি। সেই থেকে আজ অবধি আরো বহু তরুণ নতুন ভোটার হয়েছেন। এই বিপুলসংখ্যক যুবক আগামী নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন কি না অনিশ্চিত; অথচ তাদের ভোট নির্বাচনে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এ দিকে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা শোনা যাচ্ছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের সাত দফা দাবিতে নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দাবি করেছে। এ ছাড়া, অন্যান্য দাবি যদি মেনে নিয়ে সরকার এগিয়ে না আসে, তবে দেশের সব দল হয়তো ভোটে আসবে না। সে ক্ষেত্রে কী হবে, তা ভবিষ্যতের গর্ভে রয়েছে। তাই যুবসমাজ তাদের ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে সোচ্চার হওয়া কর্তব্য। তাদের এই গণতান্ত্রিক ঐক্য সমাজে বিরাট ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আরো অনেকে যুবসমাজের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে। তখন ঐক্যফ্রন্ট যে সাত দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে, তা আরো বেগবান হবে।
দেশে আইনের শাসন নিয়ে বলতে হয়, বাংলাদেশে আইনের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু এর সঠিক প্রয়োগ নেই, আছে অপপ্রয়োগের অভিযোগ। এখন আইন সরল রেখায় চলে না, অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে প্রশাসন তা প্রয়োগ করে চলেছে। আইনের অপপ্রয়োগ ঘটিয়ে সরকারের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে হেনস্তা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রেও বৈষম্যের অভিযোগ বিস্তর। এই সমস্যার স্বরূপ সম্যকভাবে অনুভব করেন আইনজীবীরা। আইনের সেবক এবং বিচারকদের সহায়তাকারী আইনজীবী সমাজ নিশ্চয়ই এখন আইনের শাসনের করুণ দশা আরো বেশি অনুভব করেন। এ অবস্থার পরিবর্তন চায় সমাজের সব মানুষ। এই পরিবর্তনের আওয়াজ আরো জোরালো করতে পারেন আইনজীবীরা। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন চলছে, ঐক্যফ্রন্ট এই বার্তা নিয়েই রাজপথে রয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে আইনের শাসন থাকা অপরিহার্য। আইনজীবীরা এটি অনেক বেশি ভালো বোঝেন। গণতান্ত্রিক সমাজে শুধু আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পায় না, কায়েম হয় সুশাসনও। আইনের শাসনই সুশাসনের নিশ্চয়তা দিতে পারে। মুক্ত ও স্বাধীন মানুষের জন্য আইনের শাসন হয়ে থাকে রক্ষাকবজ। আর এর হেফাজত করেন আইনজীবী সমাজ।
আজ যারা ক্ষমতায়, কাল নির্বাচনে জনগণের সমর্থন না পেলে তাদের যেতে হবে বিরোধীদলে। আমাদের দেশে দেখা যায়, ক্ষমতা হারানোর পর তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হন। এমন ধারা চলছে বহু দিন ধরে। কারণ, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। গণতন্ত্রের অনেক শিক্ষার একটি, পরমতের প্রতি সহিষ্ণুতা।
আজ আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের দিকে তাকালে দেখা যায়, কী পরিমাণ অন্যায় ও নির্যাতন করা হচ্ছে সরকারের প্রতিপক্ষদের প্রতি। গণতন্ত্র যদি সুপ্রতিষ্ঠিত ও আইনের শাসন যদি বহাল থাকত, তবে ভিন্ন চিত্র লক্ষ করা যেত। তাই সর্বস্তরে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সবার কল্যাণে জরুরি। সমাজে এখন যে অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতি বিরাজ করছে পদে পদে, তা জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা না থাকার কারণে। দল-মত নির্বিশেষে সবারই কাম্য হওয়া উচিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা।
এখন ঐক্যফ্রন্ট গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলনের সূচনা করেছে, তার সার্বিক সমর্থন দেয়া এবং এতে অংশ নেয়া কর্তব্য। এই আন্দোলন ব্যর্থ করার চিন্তা কারো পোষণ করা উচিত নয়। সরকার দেশের জন্য কাজ করে বলে তাদেরও ভাবতে হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে। কেননা, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক।
ndigantababor@gmail.com